কাঁচা হলুদ এবং কস্তুরি হলুদ এক নয়। এটি সাধারন হলুদের চেয়ে ১০ গুন বেশি কার্যকরী । এতে কারকিউমিনও আছে। কাঁচা হলুদ খাওয়া গেলেও কস্তুরি হলুদ খাওয়া যায়না। এটি দেখতে কিছুটা আদার মতো এবং ভেতরের রং টা হালকা ।
কস্তুরি হলুদ ত্বকের জন্য খুব উপকারি একটা উপাদান। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে এটি বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
⚜কার্যকারিতা:
✨এন্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট হিসেবে কাজ করে, ফলে ত্বকে ব্রন,রেশ,ফুসকুড়ি, চুলকানি নিয়ন্ত্রণে এনে এগুলো কমাতে সাহায্য করে থাকে ।
✨এটি ব্যবহারের ফলে সাধারন হলুদের মতো ত্বকে কোনো রং হয়না।
⚜ব্যবহারবিধি:
✨ব্রন কমাতে:
কস্তুরি হলুদ +নিম গুড়া+তুলসী গুড়া +সজনে গুড়া সাথে ৩-৪ ফোঁটা মধু মিশিয়ে প্যাক হিসেবে
ব্যবহার করতে পারেন।
✨দাগের জন্য :
কস্তুরি হলুদ গুড়া+লাল চন্দন গুড়া+জটামানসী গুড়া+গোলাপ গুড়া সাথে আলু/শশার রস মিশিয়ে প্যাক হিসেবে ইউজ করবেন ।
✨স্ট্রেচ মার্ক দূর করার জন্য:
শঙ্খ গুড়া +কস্তুরি হলুদ গুড়া +টকদই একসাথে মিশিয়ে প্যাক হিসেবে ইউজ করবেন ।
✨পিগমেনটেশন দূর করার জন্য:
কস্তুরি হলুদ গুড়া+কাঁচা দুধ মিশিয়ে পুরো ফেইসে দিয়ে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলবেন । পার্থক্য নিজেরাই লক্ষ্য করতে পারবেন।
👉ডার্ক সার্কেল দূর করার জন্য:
কস্তুরি হলুদ গুড়া +শশার রস মিশিয়ে চোখের চারপাশে আলতোভাবে ম্যাসাজ করে রেখে দিবেন,১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলবেন । আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে।
✨সানট্যান দূর করার জন্য:
কস্তুরি হলুদ+মসুর ডাল গুড়া +মুলতানি মাটি গুড়া একসাথে মিশিয়ে বডিতে ভালো করে ম্যাসাজ করবেন ২ মিনিট । তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।
✨অবাঞ্ছিত লোম দূর করার জন্য:
কস্তুরি হলুদ গুড়া +বেসন+মধু একসাথে মিশিয়ে প্যাক হিসেবে ইউজ করতে হবে সপ্তাহে ৩ দিন । ধীরে ধীরে লোম চলে যাবে।
☘কস্তুরি হলুদ যেহেতু অধিক এন্টিব্যাকটেরিয়াল গুন সম্পন্ন তাই এটি পরিমানে খুব অল্প ব্যবহার করবেন। এটি সাধারন হলুদের মতো রান্নায় ব্যবহার করা হয় না তাই এটি খাওয়া যায় না☘
Reviews
There are no reviews yet.